সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হযরত বেল্লাল,গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আলিম পরীক্ষা কেন্দ্র ধুমাইটারি সিদ্দিকীয়া সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় ইংরেজী ১ম পত্র বিষয়ের অনিয়মিত প্রশ্নপত্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করেছে গত রোববার কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার রোববার রাতে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন এবং কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছেন।জানা গেছে, মাদ্রাসা বোর্ডের রুটিন মোতাবেক রোববার ইংরেজী ১ম পত্র বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক মোবাইলের ম্যাসেজ অনুযায়ী বিষয়ের সেট কোর্ড মোতাবেক কন্ট্রোল রুম হতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। ওই দিন ইংরেজী ১ম পত্র বিষয়ের সেট কোর্ড ছিল ‘খ’। প্রশ্নপত্রের দুইটি ‘খ’ সেটের প্যাকেট ছিল এরমধ্যে একটিতে ছিল নিয়মিত এবং অপরটিতে ছিল অনিয়মিত। ভূলবসত অনিয়মিত প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা শুরু করে। কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২২৬ জন। পরীক্ষা চলাকালিন সময় কোন পরীক্ষার্থী বিষয়টি বুঝতে পারেননি। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি জানাজানি হলে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।পরীক্ষার্থী রানা মিয়া জানান, যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে, কমন প্রশ্ন ছিল লিখতে শুরু করি। প্রশ্নপত্রে অনিয়মিত লিখা ছিল তা খেয়াল করিনি। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি দেখতে পেয়ে, স্যারদের বিষয়টি জানাই। স্যার’রা বলেছেন এনিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। তারপরও মনের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার জাফর আহমেদ লস্কর জানান, প্রতিদিনের ন্যায়, কেন্দ্র সচিবের কক্ষে বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে কক্ষ ওয়ারি প্রশ্নপত্র প্যাকেট করে পাঠানো হয়। অনিয়মিত না নিয়মিত প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে, সেটি তো কেন্দ্র সচিবসহ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকগণ দেখবেন। এটি কেন্দ্র সচিবের দায়।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, এটি কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব অবহেলার সামিল। এ দায় তাঁকে নিতে হবে। তবে বোর্ড এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এতে হতাশার কিছু নেই। ভূল হতে পারে, তার সমাধানও রয়েছে।কেন্দ্র সচিব ও মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেওয়াইল এম আব্দুল্লাহ বলেন, ভূলবসত এটি হয়েছে। আমরা তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডকে জানিয়েছি। বোর্ড যে ভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেভাবে পরীক্ষার খাতা পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানিয়েছেন, বিষয়টি জানতে পেয়ে রাতেই তিনি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এটি কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব অবহেলার কারণে হয়েছে। সে জন্য তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের হতাশার কোন কারণ নেই। মাদ্রাসা শিক্ষা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলমগীর জানান, এটি কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব অবহেলার কারণে ঘটেছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের হতাশার কোন কারণ নেই।